অংশীদারি ব্যবসা (Partnership Business): A complete guideline in Bangla(2025)
কখনো কি আপনার কাছের কোনো বন্ধুর সাথে চায়ের কাপে ঝড় তুলতে গিয়ে এমন কোনো ব্যবসায়িক আইডিয়া এসেছে যা আপনাদের দুজনকেই মুহূর্তের জন্য স্বপ্নাতুর করে তুলেছে? ঢাকার কোনো এক কোলাহলপূর্ণ ক্যাফেতে বসে হয়তো আপনি আর আপনার বন্ধু রহিম ভাবছেন, “আমাদের দুজনের জমানো টাকা আর তোর মার্কেটিং জ্ঞান আর আমার রান্নার হাত—এই দুটোকে মিলিয়ে একটা ক্লাউড কিচেন দিলে কেমন হয়?” এই ছোট্ট স্বপ্ন বা আইডিয়ার স্ফুলিঙ্গ থেকেই জন্ম নেয় হাজারো সফল ব্যবসার গল্প। আর এই গল্পের সবচেয়ে বাস্তবসম্মত এবং জনপ্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ হলো অংশীদারি ব্যবসা (Partnership Business)।
একক মালিকানায় ব্যবসা করার সাহস বা পুঁজি হয়তো আপনার নেই, আবার একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি খোলার মতো আইনি জটিলতা আর আনুষ্ঠানিকতার জন্যও আপনি প্রস্তুত নন। এই দুই পথের ঠিক মাঝখানে, আস্থা, বন্ধুত্ব এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে অংশীদারি ব্যবসার ধারণা। এটি এমন এক ব্যবসায়িক কাঠামো যেখানে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি নিজেদের দক্ষতা, পুঁজি এবং শ্রমকে একত্রিত করে একটি সাধারণ লক্ষ্য, অর্থাৎ মুনাফা অর্জনের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে।
কিন্তু আবেগের বশে শুরু করা এই পথচলা সবসময় মসৃণ হয় না। ভুল বোঝাবুঝি, আর্থিক অসচ্ছতা বা সামান্য একটি অলিখিত চুক্তির কারণে অনেক সম্ভাবনাময় অংশীদারি ব্যবসা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। ঠিক এই কারণেই, অংশীদারি ব্যবসা শুরু করার আগে এর প্রতিটি খুঁটিনাটি দিক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা অপরিহার্য।
এই ব্লগ পোস্টে আমরা ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপটে অংশীদারি ব্যবসার একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন তুলে ধরব। এখানে আমরা জানব:
- অংশীদারি ব্যবসা আসলে কী এবং এর আইনি ভিত্তি কী?
- কত ধরনের অংশীদারি ব্যবসা রয়েছে এবং আপনার আইডিয়ার জন্য কোনটি সেরা?
- এর সুবিধাগুলো কী কী যা আপনাকে উৎসাহিত করবে?
- এর পেছনের ঝুঁকি বা অসুবিধাগুলো কী এবং কীভাবে তা মোকাবেলা করবেন?
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—কীভাবে একটি শক্তিশালী অংশীদারি চুক্তিপত্র বা ‘পার্টনারশিপ ডিড’ তৈরি করবেন যা আপনার ব্যবসাকে ভবিষ্যৎ বিবাদ থেকে রক্ষা করবে?
চলুন, আর দেরি না করে অংশীদারি ব্যবসার এই রোমাঞ্চকর জগতে ডুব দেওয়া যাক এবং আপনার স্বপ্নের ব্যবসায়িক উদ্যোগকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রথম ধাপটি সফলভাবে সম্পন্ন করি।
অংশীদারি ব্যবসা কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে? (What is Partnership Business?)
মরা যখন “পার্টনারশিপ” বা “অংশীদারি” শব্দটি শুনি, তখন আমাদের মনে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা এবং সম্মিলিত লক্ষ্যের একটি চিত্র ভেসে ওঠে। ব্যবসায়িক পরিভাষায় এর অর্থ আরও সুনির্দিষ্ট এবং আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। চলুন, এর মৌলিক দিকগুলো ভেঙে ভেঙে বোঝার চেষ্টা করি।
অংশীদারি ব্যবসার সংজ্ঞা ও মূল ভিত্তি (Definition and Basics of Partnership Business)
বাংলাদেশে প্রচলিত ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন অনুসারে, “অংশীদারি ব্যবসা হলো দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে এমন একটি সম্পর্ক, যেখানে তারা সকলে মিলে বা সকলের পক্ষ থেকে একজন দ্বারা পরিচালিত কোনো ব্যবসার মুনাফা নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নিতে চুক্তিবদ্ধ হয়।”
এই সংজ্ঞাটি বেশ আইনি এবং কিছুটা জটিল মনে হতে পারে। সহজ ভাষায় বললে, এর চারটি মূল ভিত্তি বা স্তম্ভ রয়েছে:
১. চুক্তি (Agreement): অংশীদারি ব্যবসার জন্ম হয় একটি চুক্তির মাধ্যমে। দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যখন একসাথে ব্যবসা করতে এবং এর লাভ-লোকসান ভাগ করে নিতে সম্মত হয়, তখনই এই সম্পর্কের শুরু। এই চুক্তি লিখিত বা মৌখিক—যেকোনোটিই হতে পারে।
২. সদস্য (Members): কমপক্ষে দুজন ব্যক্তিকে এই চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হবে। সাধারণ অংশীদারি ব্যবসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা ২০ এবং ব্যাংকিং ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১০-এর বেশি হতে পারবে না।
৩. ব্যবসা ও মুনাফা (Business & Profit): সম্পর্কটি অবশ্যই কোনো আইনসম্মত ব্যবসা পরিচালনার জন্য হতে হবে এবং ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য হতে হবে মুনাফা অর্জন ও তা অংশীদারদের মধ্যে বন্টন করা। কোনো দাতব্য বা সমাজসেবামূলক কাজের জন্য গঠিত সমিতিকে অংশীদারি ব্যবসা বলা যাবে না।
৪. পারস্পরিক প্রতিনিধিত্ব (Mutual Agency): এটি অংশীদারি ব্যবসার সবচেয়ে স্বতন্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এর অর্থ হলো, প্রত্যেক অংশীদার একই সাথে ওই ব্যবসার একজন মালিক এবং প্রতিনিধি (Agent)। অর্থাৎ, ব্যবসার স্বার্থে একজন অংশীদারের করা কোনো কাজের জন্য অন্য সকল অংশীদার দায়বদ্ধ থাকবে। ধরা যাক, রহিম তার ক্লাউড কিচেনের জন্য বাজার থেকে বাকিতে ৫০,০০০ টাকার কাঁচামাল কিনলো। এই দেনা পরিশোধের জন্য তার পার্টনার করিমও আইনত সমানভাবে দায়ী থাকবে, যদিও সে এই কেনাকাটার সময় উপস্থিত ছিল না। এটাই হলো পারস্পরিক প্রতিনিধিত্ব।
অংশীদারি ব্যবসার অপরিহার্য উপাদান (Essential elements of partnership business)
উপরের ভিত্তিগুলোর ওপর দাঁড়িয়েই অংশীদারি ব্যবসার কাঠামো তৈরি হয়। চলুন, এর কিছু অপরিহার্য উপাদানকে আরও কাছ থেকে দেখি।
- চুক্তি হলো আত্মা (The Agreement is the Soul): একটি অংশীদারি ব্যবসার ভিত্তিই হলো চুক্তি। আইন অনুযায়ী মৌখিক চুক্তি বৈধ হলেও, বাস্তবতার নিরিখে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ধরুন, দুই বন্ধু মিলে ব্যবসা শুরু করলো এবং মৌখিকভাবে ঠিক করলো লাভের ৬০% পাবে একজন, আর ৪০% পাবে অন্যজন। এক বছর পর ব্যবসা লাভজনক হলে যদি একজন বলে বসে, “আমাদের তো সমান ভাগাভাগি করার কথা ছিল,” তখন এই বিবাদ প্রমাণ করার কোনো উপায় থাকবে না। এজন্য একটি লিখিত চুক্তিপত্র বা পার্টনারশিপ ডিড থাকা অপরিহার্য। একটি লিখিত চুক্তি হলো ব্যবসার সংবিধান, যা भविष्यে যেকোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি বা বিরোধ থেকে আপনাদের রক্ষা করবে।
- সদস্য সংখ্যা (Number of Partners): আইন অনুযায়ী, অংশীদারি ব্যবসায় সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ২০ জন সদস্য থাকতে পারে। যদি কোনো কারণে সদস্য সংখ্যা ২০-এর বেশি হয়ে যায়, তবে আইন অনুযায়ী এটিকে একটি কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে, অন্যথায় এটি অবৈধ বলে গণ্য হবে। ব্যাংকিং ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সীমা ১০ জন, কারণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অধিকতর নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছতার প্রয়োজন হয়।
- মুনাফা বন্টন (Profit Sharing): ব্যবসার মূল উদ্দেশ্যই হলো মুনাফা অর্জন। অংশীদাররা কোন অনুপাতে লাভ বা লোকসান ভাগ করে নেবে, তা অবশ্যই চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। যদি চুক্তিতে এ বিষয়ে কিছু বলা না থাকে, তবে আইন অনুযায়ী সকল অংশীদার লাভ-লোকসানের সমান ভাগীদার হবে, তা তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ যাই হোক না কেন।
- পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস (Mutual Trust and Agency): অংশীদারি ব্যবসার অলিখিত কিন্তু সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান হলো পারস্পরিক বিশ্বাস। যেহেতু একজন অংশীদারের কাজের জন্য বাকি সবাই দায়বদ্ধ থাকে, তাই অংশীদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা এবং নির্ভরযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার এমন কাউকে অংশীদার হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত যার ব্যবসায়িক নীতি এবং দূরদর্শিতার ওপর আপনি পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, অংশীদারি ব্যবসায় আপনি কেবল টাকা বা শ্রম বিনিয়োগ করছেন না, আপনি আপনার বিশ্বাস এবং সুনামও বিনিয়োগ করছেন।
অংশীদারি ব্যবসার প্রকারভেদ (Types of partnership businesses)
“অংশীদারি ব্যবসা” শব্দটি শুনলে আমরা সাধারণত একটি সাধারণ ধারণাই পাই। কিন্তু এর ভেতরেও বিভিন্ন ধরন বা কাঠামো রয়েছে, যা ব্যবসার প্রকৃতি, অংশীদারদের দায় এবং নিয়ন্ত্রণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। আপনার ব্যবসায়িক মডেল এবং ঝুঁকির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে সঠিক প্রকারটি বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সাধারণ অংশীদারি (General Partnership)
এটি হলো অংশীদারি ব্যবসার সবচেয়ে প্রচলিত এবং সহজ রূপ। যখন কোনো অংশীদারি চুক্তিতে অংশীদারদের দায় সম্পর্কে বিশেষভাবে কিছু বলা থাকে না, তখন আইন অনুযায়ী তাকে সাধারণ অংশীদারি হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়।
- মূল বৈশিষ্ট্য: এই ধরনের অংশীদারিতে প্রত্যেক অংশীদারের দায় অসীম (Unlimited Liability)।
- বাস্তব উদাহরণ: ধরা যাক, সুমন এবং রিতা মিলে একটি সাধারণ অংশীদারির ভিত্তিতে একটি ফ্যাশন হাউস চালু করলো। তারা ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিলো। দুর্ভাগ্যবশত, ব্যবসাটি চললো না এবং বন্ধ হয়ে গেল।此时, ব্যবসার মোট সম্পদ বিক্রি করে মাত্র ৪ লক্ষ টাকা পাওয়া গেল। বাকি ৬ লক্ষ টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংক সুমন এবং রিতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি—যেমন তাদের গাড়ি, বাড়ি বা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ওপরও দাবি জানাতে পারবে। অর্থাৎ, ব্যবসার দায় তাদের ব্যক্তিগত জীবন পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অসীম দায়ের কারণেই সাধারণ অংশীদারিতে পারস্পরিক বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি জরুরি।
সীমিত অংশীদারি (Limited Partnership – LP)
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই ধরনের অংশীদারিতে কিছু অংশীদারের দায় সীমিত থাকে। এটি মূলত বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য একটি চমৎকার কাঠামো।
- মূল বৈশিষ্ট্য: এই অংশীদারিতে দুই ধরনের অংশীদার থাকে:
- সাধারণ অংশীদার (General Partner): কমপক্ষে একজন সাধারণ অংশীদার থাকতে হবে যার দায় অসীম থাকবে এবং যিনি ব্যবসা পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন।
- সীমিত অংশীদার (Limited Partner): এক বা একাধিক সীমিত অংশীদার থাকতে পারে, যাদের দায় তাদের বিনিয়োগ করা মূলধনের পরিমাণ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। তারা ব্যবসা পরিচালনায় অংশ নিতে পারে না।
- বাস্তব উদাহরণ: মনে করুন, একটি আইটি ফার্ম শুরু করার জন্য দুজন প্রোগ্রামার, ফাহিম ও সাদিয়া (সাধারণ অংশীদার), আরও ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের জন্য একজন ইনভেস্টর, জনাব কবিরকে (সীমিত অংশীদার) খুঁজে পেলেন। জনাব কবির ব্যবসায় ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেন এই শর্তে যে, তার দায় এই ২০ লক্ষ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং তিনি ব্যবসার দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করবেন না। যদি ফার্মটি লোকসানের মুখে পড়ে এবং এর দেনা ৫০ লক্ষ টাকায় পৌঁছায়, তবে জনাব কবির তার বিনিয়োগ করা ২০ লক্ষ টাকাই হারাবেন, কিন্তু ঋণদাতারা তার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে হাত দিতে পারবে না। অন্যদিকে, ফাহিম ও সাদিয়ার দায় হবে অসীম।
ঐচ্ছিক ও নির্দিষ্ট মেয়াদের অংশীদারি (Partnership at Will and for a Fixed Period)
এই প্রকারভেদটি মূলত অংশীদারি ব্যবসার স্থায়িত্ব বা মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
- ঐচ্ছিক অংশীদারি (Partnership at Will): যখন চুক্তিতে ব্যবসার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বা মেয়াদ উল্লেখ করা থাকে না, তখন তাকে ঐচ্ছিক অংশীদারি বলে। অংশীদাররা যতদিন ইচ্ছা ততদিন ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে। যেকোনো অংশীদার অন্য অংশীদারদের একটি নোটিশ দিয়ে সহজেই এই ব্যবসা থেকে আলাদা হতে বা ব্যবসাটির বিলোপ সাধন করতে পারে।
- নির্দিষ্ট মেয়াদের অংশীদারি (Partnership for a Fixed Period): যখন কোনো অংশীদারি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (যেমন: ২ বছর বা ৫ বছর) গঠিত হয়, তখন তাকে নির্দিষ্ট মেয়াদের অংশীদারি বলে। মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ব্যবসাটিরও বিলুপ্তি ঘটে, যদিও অংশীদাররা চাইলে পুনরায় চুক্তি করে তা চালিয়ে যেতে পারে।
নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অংশীদারি (Particular Partnership)
যখন কোনো অংশীদারি একটি নির্দিষ্ট প্রকল্প বা উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গঠিত হয়, তখন তাকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের অংশীদারি বলা হয়।
- বাস্তব উদাহরণ: দুজন স্থপতি মিলে শুধুমাত্র একটি শপিং মল নির্মাণের প্রজেক্টের জন্য একটি অংশীদারি গঠন করলো। তাদের চুক্তি হলো, শপিং মলের নির্মাণকাজ শেষ হলে এবং তা ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়ে গেলে তাদের অংশীদারির সমাপ্তি ঘটবে। কাজটি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাদের মধ্যকার অংশীদারি সম্পর্কেরও বিলুপ্তি ঘটবে। এটি সাধারণত স্বল্পমেয়াদী বা প্রজেক্ট-ভিত্তিক কাজের জন্য খুবই কার্যকর একটি মডেল।